বর্তমান বাস্তব চিত্র😑
এ পজিটিভ রক্তের অভাবে মারা যাওয়া লোকটির চল্লিশায়, এ পজিটিভ রক্তধারী আত্মীয়ের সংখ্যা ২০ জন।
রক্তদান করতে পারতো কিন্তু সুঁইয়ের ভয়ে রক্তদান না করা ব্যক্তির গর্ভবতী স্ত্রী আজ রক্তের অভাবে সিজার আটকে আছে।
রক্ত দিলে দূর্বল হয়ে যাবে বলা ছেলেটা এক্সিডেন্ট করেছে তার জন্য ২ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।
রক্ত দিতে বাবা মা বারন করেছে বলা মেয়েটা আজ ১ব্যাগ রক্ত খুজে বেড়াছে হন্যে হয়ে তার মায়ের অপারেশনের জন্য।
ও পজেটিভ রক্ত কমন ভেবে রক্তদান না করা ব্যক্তিটি আজ রক্তশূন্যতায় ভূগছে কিন্তু রক্ত পাচ্ছেনা।
রক্ত লাগবে পোস্ট গুলো ইগনোর করা মেয়েটা আজ তার বাবার জন্য “ও নেগেটিভ রক্ত লাগবে” লিখে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করছে।
ব্যস্ততা দেখিয়ে রক্তদান না করা ব্যক্তিটির মেয়েটি থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতি ২মাস পর পর ১ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।
আর নয় রক্তদানে অজুহাত, আমাদের রক্তের প্রয়োজন প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো ভাবে প্রয়োজন পড়ছে… আসুন আমরা সবাই রক্তদানে এগিয়ে আসি…

আসুন আমরা সবাই মিলে এই প্রেক্ষাপট বদলে দেই😍

  1. রক্তের অভাবে মৃত্যু নয়😍
  2. রক্তদিন জীবন বাঁচান❤
  3. রক্তদান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দান 💝
  4. আপনার ঘুমন্ত বিবেক কে জাগ্রত করুন 🙏🙏🙏🙏
  5. আবার দেখা যায় যখন রক্ত দান করা হয়। তখন ডোনারের কোনো প্রয়োজনে সাহায্য করে না।

কাউকে ব্লাডের জন্য কল দেওয়ার আগে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখবেনঃ

  1. ডোনারের যাতায়াত খরচ।
  2. যে বেলায় ব্লাড দিবে ঐ বেলার খাওয়ার খরচ।
  3. ডাব,স্যালাইন পানি,কিছু ফলমূল কিনে দেওয়ার খরচ দেয়াটা কমনসেন্সের ব্যাপার।
  4. এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টা ডোনারের খোঁজ খবর রাখবেন।
  5. পারলে কোন এক সময় বাসায় দাওয়াত দিবেন। 💕

যারা ব্লাড দেয় তারা বেশিরভাগই স্টুডেন্ট, মেসে থেকে পড়াশুনা করে। তারা প্রতিনিয়ত ব্লাড দেয়। অনেক সময় দেখা যায় পরের দিন এক্সাম তবুও ব্লাড দেয়।

আবার, যারা ব্লাড খুজে দেয় তারাই জানে ১ব্যাগ ব্লাড খুজে বের করা কতটা কষ্টের। সময়, শ্রম দিয়ে ডোনারকে খুজে বের করতে হয়। অনেকেই তো সেগুলা জানেন ই না। এগুলা হাইড স্টোরি থাকে।

কিন্তু রোগীর রিলেটিভদের ব্যবহার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিবেকহীনতার পরিচয় দেয়। কোনো খোজ খবরই নিতে চায়না যে চরম এই বিপদের সময় এই রক্ত কোথা থেকে এলো। একজনকে বলে দেয়, তারপর মনে হয় সব দায়ভার ঐ বেচারার। নিজের সম্মান রক্ষার জন্য হলেও ঐ বেচারা ডোনারকে কেয়ার করে। অনেক ডোনার জবও করেনা। হয়তো আত্মীয় স্বজন, না হয় পরিচিত, নতুবা মানবতার জন্য মানুষের বিপদে এগিয়ে যায়।

নামীদামী হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেন,একদিনে ৩/৪ হাজার টাকা করে কেবিন ভাড়া দিতে পারেন। কিন্তু যে মানুষটা তার সবথেকে মূল্যবান জিনিস দিয়ে আপনাকে হেল্প করছে,তার কদর করবেন না, তা হতে পারেনা।

যে দেশে ২৫০মিলি গ্রাম পানির বোতল কিনে খেতে হয়,সে দেশে বিনা টাকায় ৪৫০ মিলি গ্রাম রক্ত দাতাকে সম্মান করা আপনার কর্তব্য।

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো সাস্থ্য সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন.