বিস্তারিতঃ
চোখের পানি নিয়ে উইলিয়ামফ্রে নামে একজন বিজ্ঞানী প্রায় ১৫ (পনেরো) বছর গবেষণা করেছেন।

গবেষণার শেষে তিনি বলেছেনঃ-
চোখের পানি কোনো সাধারণ পানির মত নয়। এটির মধ্য আছে পানি, শ্লেষ্মা, তেল, ইলেক্ট্রোলাইট-এর এক জটিল মিশ্রণ।

এটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী, যা চোখকে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এটি কর্নিয়াকে মসৃণ করে, যা পরিষ্কার দৃষ্টির জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এটি কর্নিয়াকে যথেষ্ট আর্দ্র রাখে এবং অক্সিজেন সরবরাহ দেয়। এটি চোখের জন্যওয়াইপার হিসেবে কাজ করে থাকে যা চোখ কে ধুয়ে ধুলোবালি থেকে পরিষ্কার করে। চোখের পানি, যদি শুধুই পানি হতো, তাহলে তা ঘর্ষণের কারণে চোখ শুকিয়ে জ্বালা পোড়া করতো। শীতকালে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি হলে পানি শুকিয়ে জমে বরফ হয়ে যেত!

আবার চোখের পানি যদি শুধুই এক ধরনের তেল হতো, তাহলে তা চোখের ধুলাবালি পরিষ্কার না করে উলটো আরও ঘোলা করে দিতো। চোখের পানির মধ্যে প্রকৃতিরলক্ষ উপাদান থেকে এমন বিশেষ কিছু উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যার একবিশেষ মিশ্রণ একই সাথে পরিষ্কার, মসৃণ এবং জীবাণুমুক্ত করতে পারে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।

চোখের পানির এই ব্যাপারটা চিন্তা করলেই আল্লাহ্’র প্রতি কৃতজ্ঞতায় মস্তক অবনত হয়ে যায়। সুবহানআল্লাহ!
এক চোখের পানিতেই আল্লাহ্ তায়ালা কত-শত অনুগ্রহ দেখিয়েছেন, কত সুক্ষ্ম, কত পরিকল্পনা করে সৃষ্টি করেছেন! একটু উনিশ থেকে বিশ হলেই ঘ্যাচাং! ভাবনার মোড়কে আটকানো অসম্ভব!

আল্লাহ বলেনঃ-
فَبِأَىِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ

বাংলাঃ
“অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?”
(সূরাহ আর-রহমান,আয়াত-১৩)

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো টেক টিপ্স পেতে ভিজিট করুন.