শঙ্খিনি সাপ আর একটি রাসেল ভাইপার
শঙ্খিনি সাপ আর একটি রাসেল ভাইপার

এই শঙ্খিনি সাপটিকে মারবেন না। কারণ-

শঙ্খিনি সাপ আর একটি রাসেল ভাইপার সাপের পরিচয়। যদিও শঙ্খিনির ভয়ংকর নিউরোটক্সিন বিষ আছে।
মজার ব্যাপার, এ সাপের কামড়ে গত বিশ বছরে কারো মরার রেকর্ড নাই।
কারন এই সাপ মানুষ দেখলে পালিয়ে যায়।
এমনকি আঘাত করলেও অ্যাটাক করেনা।
তবে হ্যা,আপনি নিজ থেকে গুতালে হুদাই,আপনাকে কামড় দিবে।
শঙ্খিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে উপকারী সাপ।

এটা একমাত্র সাপ বাংলাদেশের যা রাসেল ভাইপারসহ,
বাংলাদেশের যেকোন বিষাক্ত সাপকে খেয়ে ফেলতে পারে।
জীঁ আবার পড়েন, আপনি ঠিকই পড়েছেন।
এই সাপ রাসেল ভাইপারকেও খেয়ে ফেলতে সক্ষম।
মানুষ ভয়ংকর ভাবে গত দশ বছরে এই সাপটাকে এতো বেশী মেরে ফেলছে।
যে এটার পরিমান কমে গেছে, ফলে এর খাবার রাসেল ভাইপার বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশের গত এক দেড় বছরে বেশ কয়েকটি জেলায় রাসেল ভাইপার পাওয়া গেসে।
এবং বন্যার জন্য বর্তমানে এর উৎপাতের মাত্রা বেশ উর্দ্ধমুখী।
আজ থেকে আট বছর আগেও ছিলো না।

এর কোন রিপোর্টিং কেস এবং বাংলাদেশে রাসেল ভাইপারের আনাগোনা ছিলো না।
কিন্তু, বর্তমানে ট্রাভেলারদের কাছ থেকেও, ব্যাপক মাত্রায় রাসেল ভাইপারের রিপোর্টিং কেস পাওয়া যাচ্ছে।
এবং দর্শনীয় স্থানগুলোতে এই সাপের আনাগোনা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ধারণা করা হয় বন্যার পানির সাথে ভারত থেকে আসছে।
এই টপ গ্রেডেড বিষাক্ত সাপটি।
রাসেল ভাইপার এতটাই বিষাক্ত।
যে কমপক্ষে একশত জনকে মেরে ফেলা যাবে।
সময় লাগবে হাতে গোনা কয়েক মিনিট এর এক ফোটা টক্সিন দিয়ে ।
অর্থাৎ এই সাপ আপনাকে হসপিটালে যাওয়ার সময়টুকুও দিবেনা।
বলা বাহুল্য, অন্য সাপ বছরে ১০/১৫ টা ডিম দেয়।
তবে রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া ৪০ থেকে ৬০ টি বাচ্চা দেয়।
তবে কোনো কোনো চন্দ্রবোড়া সাপের ৭৫টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ড আছে।
আপনার যদি সাপ গুতাইতে বা বিরক্ত করতে ভালো লাগে।
তাহলে রাসেল ভাইপারকে গুতান।
এরা আপনাকে ডাইরেক্ট উপরে পাঠাইয়া দিবে।
এই নিরীহ সাপকে গুতাবেন না।
আরেকটা কথা, রাসেল ভাইপার মানুষ দেখলেই আক্রমণ করতে পছন্দ করে।
অনেকটা লোহা আর চুম্বকের মত।
রাসেল ভাইপার পাহাড়ি এলাকার সাপ হলেও,
এখন বন্যার পানিতে সারা দেশে এদের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। শঙ্খিনি সাপ আর একটি রাসেল ভাইপার সাপের পরিচয়।

দেশে ইদানীং অনেক মানুষ রাসেল ভাইপারের আক্রমণে মারা যাচ্ছে।
তার মূল কারন কমন শঙ্খিনির সংখ্যা কমে যাওয়া।
তাই শঙ্খিনি সাপকে মানুষের বন্ধু ভেবে এদের বংশবৃদ্ধি করতে সহায়তা করুন।
অবশ্য আমরা উপকারী গাছই কেটে ফেলি।
আর এটা তো সাপ। বাদ দেন।
হয়ত, কোন এক ইকোলজিকাল ইমব্যালান্সের ফল আজকের এই করোনা মহামারি।
দেখবেন প্রকৃতি আপনাকে দুহাত ভরে দিবে।

আসুন, চারপাশের ইকোলজিকাল ব্যালান্স সংরক্ষন করি, এবং একটু ইকোলজিকাল ব্যালান্স নিয়ে চিন্তা করি।

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।

আরো তথ্য পেতে ভিজিট করুন.