স্বস্তিতে মানুষ, মৃত্যু শূন্য ২৮ দিন পার করছে দেশ

বিস্তারিতঃ দীর্ঘ দুই বছর পর স্বস্তি ফিরেছে। দৈনন্দিন জীবনযাপনে। করােনার ভয়াল থাবা থেকে মুক্তি পেয়েছে জীবন। কিছুটা হলেও মুছেছে শােকের ছায়া। মৃত্যুহীন টানা। ২৮ দিন পার করছে দেশ। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় । করােনা ঘিরে নেই উকণ্ঠা, নেই কোনাে আলােচনা। স্কুলকলেজ, অফিসআদালত, কল-কারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিসে ফিরেছে কাজের গতি। এ ব্যাপারে ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করােনার সংক্রমণ কমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মাঝে। করােনা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে দেশ।

করােনা সামলে ওঠার সূচকে পুরাে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু করােনার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।’ তিনি বলেন, অনেক দেশে চতুর্থ ঢেউ চলছে। চীন, উত্তর কোরিয়ায় আবারও হানা । দিয়েছে করােনা, বেশ কিছু জায়গায় চলছে। লকডাউন। এ জন্য করােনা বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্কের কোনাে বিকল্প নেই। টিকা নেওয়া বাকি থাকলে অবশ্যই নিতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গতকাল দেশে করােনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন।

করােনা ঘিরে নেই কোনাে আলােচনা

শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই ২৮ জন। ঢাকা মহানগর। ও জেলায়। এ সংখ্যা ২৪ জন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১২ জনে। সস্থ হয়ে ফিরেছেন ২৬৯ জন। গত ২৪ দিনের মতাে গতকাল মৃত্যুহীন দিন পার করেছে দেশ। দেশের ৮৭৯টি ল্যাবে চলছে কলকানা পরীক্ষা। গত ২০ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল আস্থ্য অধিদফতর। এরপর আর কোনাে রােগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে করােনায় মৃতের সংখ্যা দেশে ২৯ হাজার ১২৭ জনই রয়েছে। দেশে করােনা থেকে সুস্থ হওয়া রােগীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৪১৯ জন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করােনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

করােনা ঘিরে নেই কোনাে আলােচনা

এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করােনাভাইরাস ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারি ঘােষণা করে ১১ মার্চ। দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্ক। দেশে দেশে দেওয়া হয় লকডাউন। শুরুতে করােনায় আক্রান্ত রােগীদের মৃতদেহ দাফন করার লােকপর্যন্ত পাওয়া যেত না। চিকিৎসা নিতে হাসপাতালগুলােতে বেড় না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতেই মৃত্যু হয়েছিল অনেকের। তবে দুই বছর পেরিয়ে তৃতীয় বছরের বাংলাদেশসহ পুরাে বিশ্বই অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পেীছেছে। ওয়াল্ডোমিটারের তথ্য সূত্রে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত বিশ্বে করােনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ৯০০। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮০।

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো তথ্য পেতে ভিজিট করুন.