কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ ও সমাধান
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ ও সমাধান

রমজান মাসে অধিকাংশ মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্যেই ভুগেন। সারাদিন রোজা রাখার কারণে পানি কম হয়। অনেকে আবার সাহরী ও ইফতারে ফাইবার জাতীয় খাবার একে বারে খান না। ফাইবার জাতীয় খাবার না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। শুধু রমজান মাস নয়। অনেকের সারা বছরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তার দ্রুত সমাধান করা জরুরী। নয়তো গ্যাস্ট্রিক থেকে শুরু করে পাইলস গেট এমনকি মলদ্বারে ক্যান্সার হতে পারে। তাই এই সমস্যাকে কোনভাবেই অবহেলা করা ঠিক নয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ ও সমাধান। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান করতে পারেন ঘরোয়া কিছু উপায়ে। এই উপায় গুলো মেনে চললে আপনি শতভাগ উপকার পাবেন। কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা কমাতে রোজ আপেল খান। ইফতারে বা সাহরিতে আপেল রাখতে পারেন। আপেল এ থাকা আশ হজম করতে দুরুত সাহায্য করতে পারে। আপেলের খোসাই আছে সলোবল ইন্সলোবল ফাইবার যা খাবার হজমে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। এছাড়া আপেলে থাকা প্যাক্টিন পরিপাকতন্ত্রের সঠিক কর্ম ক্ষমতা নিশ্চিত করে। কোষ্ঠকাঠিন্যে সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে কলা। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা শরীরের জন্য ভিষন উপকারী। তাছাড়া কলাই থাকা পটাশিয়াম বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্র কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন। বিশেষ করে আপনি যখন ব্যাম করবেন অথবা বা বাইরে থাকবেন তখন বেশি পরিমাণে পানি পান করুন। ইসবগুলির ভুসি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই এটি খেতে হবে নিয়ম মত। অনেকেই ইসবগুলির ভুসি পানিতে ভিজিয়ে রাখেন এবং পরে খান। এতে আসলে তেমন কোন উপকার হয় না বরং পানিতে দিয়ে সাথেই সাথে খেয়ে ফেলতে হবে। শষাতে আছে ডায়েটারি ফাইবার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি। এই উপাদান গুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য সমস্যাও দূর করা সম্ভব। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাই বেলের শরবত ভিষন উপকারি। ৩০ থেকে ৩৫ গ্রাম পাকা বেলের শাস নিয়ে এক গ্লাস পানিতে শরবত তৈরি করুন। তারপর তা ইফতারে সেবন করুন। রমজান ছাড়া অন্য যে কোন মাসে দিনে দুইবার বেলের শরবত সেবন করুন। এভাবে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ দিন বেলের শরবত পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যে সমস্যা দূর হয়ে যাবে। উচ্চমাত্রার ফাইবারসমৃদ্ধ কমলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি বা দুটি কমলা খাওয়ার অভ্যাস করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। এছাড়া ভারী খাবার খাওয়ার পরেও কমলা খেতে পারেন। খাবার দ্রুত হজম হবে কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করতে টক দইয়ের তুলনা নেই। টক দইয়ে প্রোবায়োটিক গুনাগুন আপনার হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি নিয়মিত টক দই খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। গাজর একটি সুস্বাদু সবজি। এটি প্রাকৃতিক ডায়েটারি ফাইবার এর বেশ ভালো উৎস। প্রতিদিন গাজর খাওয়ার অভ্যাস করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গাজর খাওয়ার অভ্যাস করুন। বন্ধুরা কেমন লাগলো আমাদের আজকের টিপস। এরপর কোন বিষয়ে টিপস জানতে চান তা মন্তব্য করে জানান। পোষ্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, সুস্থ রাখুন আপনার শরীল। ধন্যবাদ।

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো তথ্য পেতে ভিজিট করুন.