বিস্তারিতঃ

ছড়িয়েছে ১১ দেশে শনাক্ত ১৮০ জনের। দেহে, প্রাণঘাতী নয়। সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য, সংস্থার গুটিবসন্তের টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরােধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর।

মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে বন্দরে বাড়তি সতর্কতাঃ

বিশ্বের ১১ দেশে ১৮০ জনের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রামক এই রােগ। দেশে মাঙ্কিপক্স রােগের জীবাণু প্রবেশ ঠেকাতে বন্দরগুলােতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, নৌবন্দরে এই রােগের উপসর্গ আছে এমন রােগী শনাক্ত হলে আইসােলেশনে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

মাঙ্কিপক্স ঠেকাতেঃ

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রােগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) ও মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘মাঙ্কিপক্সের বিস্তার নিয়ে আমরা নজর রাখছি। সব বন্দরে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ আছে। এমন রােগী পেলে তাদের আইসােলেশনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ কারণ কেউ আক্রান্ত হলে প্রথমে তার  শরীরে পক্স দৃশ্যমান হবে। মানুষ আক্রান্ত হলে উপসর্গ দশ্যমান হওয়ার পরে এ রােগ ছড়ায়। কিন্তু করােনা উপসর্গ প্রকাশ না পেলেও রােগ ছড়াত।’ তিনি আরও বলেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এটা গুরুতর কিংবা প্রাণঘাতী নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। জানা যায়, চলতি মাসেই উত্তর আমেরিকা এবং ইউরােপে কয়েকজন মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রােগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

তবে, কিছু ক্ষেত্রে মাঙ্কিপক্স মারাত্মক হতে পারে। যদিও তা বিরল। সামপ্রতিক বছরগুলােতে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশে হাজার হাজার মানুষের মাঝে এই রােগের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। তবে, ইউরােপ এবং উত্তর আমেরিকাতে এটি বিরল। কিন্তু ফ্রান্স গত শুক্রবার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত প্রথম রােগী শনাক্ত করেছে। মাঙ্কিপক্স এমন একটি ভাইরাস যা। প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। এর উপসর্গ গুটিবসন্তের মতাে হলেও ক্লিনিক্যালি কম গুরুতর। আফ্রিকায় কাঠবিড়ালি, গাম্বিয়ায় শিকারিই গাম্বিয়ায় শিকারি ইদুর, উর্মিসের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির বানরসহ অনেক প্রাণীর মধ্যে মাঙ্কিপক্স পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মানুষ থেকে মানুষে এই রােগের সংক্রমণ সীমিত।

মাঙ্কিপক্সের আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গের মধ্যে আছে- মুখ ও হাতের তালুতে ক্ষত বা গুটি, খােসপাচড়া, জ্বর, পেশিতে ব্যথা এবং ঠাণ্ডা লাগা। ১৯৭০ সালে জায়েরে (বর্তমানে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র) মানুষের প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। তখন সেখানের একটি অঞ্চলের ৯ বছর বয়সী ছেলের মধ্যে মাঙ্কিপক্স পাওয়া যায়। ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১টি আফ্রিকান দেশ- বেনিন, ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন, আইভরি কোস্ট, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, সিয়েরা লিওন এবং দক্ষিণ সুদানে মানুষের মাঝে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। ২০০৩ সালের বসন্তে যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

যা ছিল প্রথমবারের মতাে আফ্রিকার বাইরে কোনাে দেশে এই রােগের সংক্রমণ। সংক্রামিত প্রাণীর রক্ত, শারীরিক তরল, ত্বকের ক্ষত বা শ্লেষ্মর সঙ্গে সরাসরি যােগাযােগের ফলে প্রাণী থেকে মানুষের মাঝে এই রােগ ছড়ায়। সংক্রামিত রােগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, ত্বকের ক্ষত থেকে এবং নাক, মুখ ও চোখের ভিতর দিয়ে এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের মাঝে ছড়ায়। শ্বাসযন্ত্রের ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমণে সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী ফেস টু ফেস যােগাযােগের প্রয়ােজন হয়। যা স্বাস্থ্যকর্মী, পরিবারের সদস্য এবং সংক্রামিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠদের যােগাযােগকে বেশি ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। সাধারণত এই রােগের উপসর্গ দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

শিশুদের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি গুরুতর হতে পারে। কারণ, ভাইরাস এক্সপােজারের মাত্রা রােগীর স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং জটিলতার ধরনের সঙ্গে সম্পর্কিত। রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলুলার মাইক্রোবায়ােলজির সহযােগী অধ্যাপক সাইমন ক্লার্ক বলেন, আমাদের। অনুমান- পশ্চিম আফ্রিকার স্ট্রেন যা যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে আছে সেখানে মৃত্যুর হার প্রায় এক শতাংশ। কঙ্গো অঞ্চলে এমন একটি স্ট্রেন পাওয়া যায় যা প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে এই স্ট্রেন নেই। এই রােগের কোনাে নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে, গুটিবসন্তের টিকা মাঙ্কিপক্স। প্রতিরােধে প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু, গুটিবসন্তের। ভ্যাকসিনের সরবরাহ এখন সীমিত। কারণ বিশ্বব্যাপী এই রােগটি নির্মূল হয়েছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

মাঙ্কিপক্সকে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল রাশিয়া!

করােনার ভয় না কাটতেই বিশ্বে ভয় ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। বর্তমানে বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে তবে কী করােনার পর ফের মহামারি ডেকে আনবে এই ভাইরাস। সেই সময় সােভিয়েতের বিজ্ঞানীর কথায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। দুই যুগ আগে তিনি বলেছিলেন, সােভিয়েত মাঙ্কিপক্সকে বায়াে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। ঠিক কী বলেছেন তিনি? কানাত আলিবেকভ নামক ওই বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, ১৯৯০ সালের আগে।

পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স ভাইরাসকে বায়াে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের কাছে এই চাঞ্চল্যকর দাবিই করেছিলেন তিনি। ইউরােপ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার পরে এখন নতুন করে মাঙ্কিপক্স দেখা দিয়েছে ইসরায়েল এবং সুইজারল্যান্ডে। ওদিকে মাঙ্কিপক্স পজিটিভ ব্যক্তিদের সবার আগে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বেলজিয়াম। সেখানে ২১ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ব্রিটিশ অ্যাসােসিয়েশন ফর সেকুয়াল হেলথ অ্যান্ড এইচআইভির। প্রেসিডেন্ট ড. ক্লেয়ার ডিউস্ন্যাপ বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযােগ্যভাবে বাড়বে। ব্রিটেনে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে ব্রিটিশ একটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সব মিলিয়ে মােট ১৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত এই বিরল রােগ শনাক্ত করা হয়েছে। করােনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে চীনকে দায়ী করা হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প তাে দাবিই। করেছেন চীনা ল্যাবেই নাকি এই ভাইরাস তৈরি হয়েছে। যা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সেই দেশ। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেই দাবি খারিজ করে দেয়। এবার নতুন করে গােটা বিশ্বে ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে সােভিয়েতের প্রাক্তন বিজ্ঞানী বিস্ফোরক দাবি করলেন। ১৯৯৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে আলিবেকভ বলেছিলেন, সােভিয়েত বায়াে অস্ত্র হিসেবে ভাইরাসের ব্যবহার করতে চেয়েছিল।

এক্ষেত্রেও ভ্যাকসেনিয়া ভাইরাস, মাউসটক্স ভাইরাস, র্যাবিটপক্স ভাইরাস এবং মাঙ্কিপক্স ভাইরাসকে মডেল ভাইরাস হিসেবে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেন, সােভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মাঙ্কিপক্সকে ভবিষ্যতের বায়াে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য কাজ চালিয়ে গিয়েছিল। তার দাবি, রাশিয়ার বায়ােলজিক্যাল অস্ত্র ব্যবহার করার উদ্যোগ। এখনাে পুরােপুরি বন্ধ হয়নি।

মাঙ্কিপক্সঃ

আতঙ্কিত হওয়া নয়, সতর্ক থাকতে হবেঃ

করােনাভাইরাসের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই জগদ্বাসীর জন্য হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মাঙ্কিপক্স। প্রাণঘাতী না হলেও মাঙ্কিপক্সে কেউ। আক্রান্ত হলে ত্বকে থেকে যায় ক্ষতচিহ্নের দাগ। বিশ্বের ১১টি দেশে অন্তত ৮০ জনের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত করা গেছে। ১৯৭০ সালে জায়েরে বা কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে প্রথম মানুষের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। ওই । দেশের ৯ বছর বয়সী ছেলের মধ্যে পাওয়া যায় মাঙ্কিপক্স। ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১টি আফ্রিকান দেশ- বেনিন, ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন, আইভরি কোস্ট, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং দক্ষিণ সুদানে মানুষের মাঝে মাঙ্কিপক্স। শনাক্ত হয়েছে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

যা ছিল প্রথমবারের মতাে আফ্রিকার বাইরে কোনাে দেশে এই রােগের। সংক্রমণ! সংক্রামিত প্রাণীর রক্ত, শারীরিক তরল পদার্থ, ত্বকের ক্ষত বা শ্লেয়ার সঙ্গে সরাসরি যােগাযােগের ফলে প্রাণী থেকে মানুষের মাঝে এই রােগ ছড়ায়। সংক্রামিত রােগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, ত্বকের ক্ষত থেকে এবং নাক, মুখ ও চোখের ভিতর দিয়ে এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের মাঝে ছড়ায়। শ্বাসযন্ত্রের ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমণে সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী। ফেস টু ফেস যােগাযােগের প্রয়ােজন হয়। যা স্বাস্থ্যকর্মী, পরিবারের সদস্য। এবং সংক্রামিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠদের যােগাযােগকে বেশি ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।

সাধারণত এই রােগের উপসর্গ দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। মাঙ্কিপক্স প্রাণঘাতী না হলেও এটি যে বিরক্তিকর ভাইরাস তাতে সন্দেহের | কোনাে অবকাশ নেই। শিশুদের ক্ষেত্রে পক্সটি তুলনামূলকভাবে বেশি। ক্ষতিকর। দুনিয়াজুড়ে মাঙ্কিপ ঝুঁকি সৃষ্টি করলেও এটি এমন এক ভাইরাস যা সহজে চিহ্নিত করা যায়। চিকেন পক্স বা গুটি বসন্তের টিকা নিলে এ ভাইরাস থেকে ৮৫ ভাগ সুরক্ষা মেলে। তবে দুনিয়াজুড়ে গুটি বসন্ত নির্মূল হয়ে যাওয়ায় এ ভ্যাকসিনের সরবরাহ একেবারে সীমিত। আফ্রিকা থেকে। ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। বানর, কাঠবিড়াল, ইদুরের মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়িয়ে

পড়ে। মাঙ্কিপক্সে ১১টি দেশে কিছু লােকজন আক্রান্ত হলেও আক্রান্তের । সংখ্যা একেবারে সীমিত। ফলে আতঙ্কে না ভুগে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে আগতদের ব্যাপারে থাকতে হবে সতর্ক।

যুক্তরাজ্যে মাঙ্কিপক্স সিলেটে সতর্কতাঃ

উত্তর আমেরিকা ও ইউরােপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাসজনিত বিরল রােগ মাঙ্কিপক্স। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে। এ রােগ ছড়িয়ে পড়ায় সিলেটের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে থাকা স্বজনদের নিয়ে। সিলেটে থাকা মানুষের উদ্বেগ বাড়ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যফেরত প্রবাসীদের মাধ্যমে সিলেটে ভাইরাসজনিত এ রােগ যাতে ছড়াতে না পারে সে জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জোরদার করা হয়েছে ‘হেলথ স্ক্রিনিং’। প্রস্তুত রাখা হয়েছে, আইসােলেশন সেন্টার।

যুক্তরাজ্যে মাঙ্কিপক্সঃ

সিলেটের স্থলবন্দরগুলােতেও সংশ্লিষ্ট কতপক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করােনা। | লস্তিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্য। কাবাসীদের দেশে ফেরা বেড়েছে। প্রতিদিনই শতাধিক প্রবাসী। লন্ডন-সিলেট আসা-যাওয়া করছেন। তাই যুক্তরাজ্যে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার খবরে সিলেটের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। সিলেটে থাকা প্রবাসী পরিবারের সদস্যরা। তরাজ্যে অবস্থানরত স্বজনদের জন্য দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য-ফেরত প্রবাসীদের মাধ্যমে বাসজনিত এ রােগ সিলেটে ছড়িয়ে পড়ে কি না এ নিয়ে।

সাধারণ মানুষের মধ্যেও চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সভায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. ভরাজয় দত্ত জানান, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিয়ে আসা প্রবাসীদের বেশির ভাগই যুক্তরাজ্যের। তাই যুক্তরাজ্যে মাক্তৃিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে ওসমানী বিমানবন্দরে সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। চার সদস্যের মেডিকেল টিম সেখানে। কাজ করছে। লন্ডন থেকে আসা ফ্লাইট ওসমানীতে তবতরণের আধা ঘণ্টা আগ থেকেই মেডিকেল টিমের। সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় থাকেন। হেলথ স্ক্রিনিংয়ের পর যাত্রীদের বিমানবন্দর ত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়। ডা. জনােজয় দত্ত আরও জানান, কোনাে রােগীর শরীরে।

মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দৃশ্যমান হলে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। অবস্থাদৃষ্টে আক্রান্ত মনে হলে ওই যাত্রীকে সিলেট সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসার জন্য ২০ শয্যার সংক্রামক ব্যাধি – হাসপাতালকে আইসােলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত রাখা। হয়েছে জানিয়ে ডা. জন্মেজয় বলেন, করোনা আক্রান্ত | রােগীদের আইসিইউ ও অক্সিজেন সাপাের্টের প্রয়ােজন। হতাে। তাই তাদের সব হাসপাতালে আইসােলেশনে রাখা যেত না। কিন্তু মাঙ্কিপক্সের রােগীদের এ রকম সাপাের্টের প্রয়ােজন না হওয়ায় তাদের জন্য আইসােলেশন সেন্টার। হিসেবে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালকে নির্ধারণ করা হয়েছে। ওসমানী বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং করা হলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত শনাক্ত না হওয়ায় স্থলবন্দরগুলােতে এ রকম।

কোনাে সতর্কতা এখনাে জারি করা হয়নি বলে জানান। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয়। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানিয়েছেন, করােনার মতাে মাঙ্কিপক্স ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ | ছড়ানাের কারণে সিলেটের জন্য দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সারা দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে সতর্কতা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই | নির্দেশনার আলােকে ওসমানী বিমানবন্দরে ইতােমধ্যে হেলথ স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। ভারতে এখনাে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত না হলেও সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দরে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

করােনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় স্ক্রিনিং ব্যবস্থা কিছুটা শিথিল হয়েছিল, মাঙ্কিপক্সের কারণে তা আবার জোরদারে সংশ্লিষ্টদের। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয়। দত্ত জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক উপসর্গ জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জোড়া ও মাংসপেশিতে ব্যথা এবং অবসাদ দেখা দেবে। জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি বা ফুসকুড়ি দেখা দেবে। এসব গুটি শুরুতে দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত ও পায়ের পাতাসহ দেহের অন্যান্য। জায়গায়। এই গুটির জন্য রােগীর দেহে খুব চুলকানি হয়। পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়।

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।

আরো তথ্য পেতে ভিজিট করুন.