এমন খরতাপ চলবে ২০৬০ পর্যন্ত

ইউরােপ বলতেই চোখের সামনে ভেসে আসে বরফের আস্তরণ। সেখানে গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা বাংলাদেশের। শীতকালের তাপমাত্রার প্রায় সমান। কিন্তু হঠাৎ করেই সেসব দেশে এখন মধ্যপ্রাচ্যের থেকেও বেশি গরম। প্রায় প্রতিদিনই কোনাে না কোনাে দেশে রেকর্ড ভাঙছে। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য দেখেছে তার ইতিহাসে সর্বোচ্চ গরমের রেকর্ড। একই অবস্থা পশ্চিম ইউরােপের সব দেশেই। এর মধ্যে গতকাল স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানসেজ জানিয়েছেন, গত ১০ দিনের গরমে তার দেশে। পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এ অবস্থা নিয়ে। তিনি শঙ্কিত। তবে স্পেনের চেয়ে পর্তুগালের অবস্থা আরও শােচনীয়। সেখানে গরমে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। এদিকে প্রচণ্ড গরমে সেখানে কয়েক গুণ। বেড়েছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এক লন্ডন শহরেই এক দিনে এক ডজন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে শহরের আগুন নেভানাে গেলেও বনাঞ্চলের আগুন নেভাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে দমকল বাহিনীকে। ফ্রান্স, পর্তুগাল ও স্পেনে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। গরম যত বাড়ছে, দাবানলের প্রকোপ তত ভয়াবহ হচ্ছে। এর মধ্যে ভয়াবহ সংবাদ শােনাল জাতিসংঘ।

সংস্থাটি বলছে, সেখানে এখন যে দাবদাহ চলছে, তা আরও নিয়মিত আর স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। এ প্রবণতা চলবে অন্তত ২০৬০-এর দশক পর্যন্ত। জাতিসংঘ মঙ্গলবার এসব কথা জানিয়ে দাবদাহ নিয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বলছে, বায়ুমণ্ডলে বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত করে এমন দেশগুলাের জন্য বর্তমান তাপপ্রবাহটি একটি সতর্কসংকেত। সংস্থাটির প্রধান পেতেরি তালাস জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,

এটা (দাবদাহ) আরও বেশি স্বাভাবিক ও নিয়মিত হয়ে উঠবে এবং নেতিবাচক এ প্রবণতা। অব্যাহত থাকবে। অন্ততপক্ষে ২০৬০-এর দশক পর্যন্ত। তিনি এ জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, পরিবেশকে বিরক্ত করার কারণে আমরা তাপমাত্রার একের পর এক রেকর্ড ভাঙছি। ভবিষ্যতে এমন দাবদাহ স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে। এমনকি এর চেয়ে আরও বেশি দাবদাহ দেখতে হতে পারে আমাদের।

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো তথ্য পেতে ভিজিট করুন.