সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে যে, দেশের সড়ক মহাসড়কে মােটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গঠনগতভাবে মােটরসাইকেল অপেক্ষাকৃত একটি অনিরাপদ বাহন। জরুরি প্রয়ােজনে স্বল্পদূরত্বে গমনের জন্য মােটরসাইকেল ব্যবহারের উদ্দেশ্য থাকলেও বর্তমানে এসব যান মহাসড়ক ও দূরপাল্লায় চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। মােটরসাইকেল চালনাকালে অনেক ক্ষেত্রে হেলমেটসহ নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হচ্ছে না, ফলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিং, নিয়ম না জানা বা না মানা ইত্যাদিও মােটরসাইকেল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

মােটরসাইকেল দুর্ঘটনা রােধে বিআরটিএ’র আহ্বান:

১. অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের মােটরসাইকেল ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করুন বিশেষ করে কিশাের বয়সী সন্তানদেরকে মােটরসাইকেল চালনা থেকে বিরত রাখুন।
২. শুধুমাত্র জরুরি প্রয়ােজনে স্বল্প দূরত্বে মােটরসাইকেল ব্যবহার করুন। দূরপাল্লা বা মহাসড়কে মােটরসাইকেল ব্যবহার করবেন না।
৩. মােটরসাইকেল চালনাকালে একজনের বেশি আরােহী বহন করবেন না। মােটরসাইকেল চালনাকালে ওভারটেকিং করবেন না। মােটরসাইকেলে সর্বদা স্বল্প গতি বজায় রাখুন অর্থাৎ দ্রুত গতিতে বা বেপরােয়াভাবে মােটরসাইকেল চালাবেন না।
৪. অধিকাংশ ক্ষেত্রে মােড় বা বাঁক ঘােরা বা বৃষ্টির সময় মােটরসাইকেল কাত হয়ে পড়ে যায়। এ কারণে। যেকোনাে মােড়/বাক ঘােরার আগে বা রাস্তার বাঁক অতিক্রম করার সময় বা বৃষ্টির মধ্যে নিয়ন্ত্রণ উপযােগী অত্যন্ত স্বল্প গতিতে মােটরসাইকেল চালাবেন।
৫. মােটরসাইকেল চালনাকালে মােবাইল ফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন না। ট্রাফিক আইন, ট্রাফিক সাইন মেনে চলুন।
৬. চালক ও আরােহী উভয়েই সঠিকভাবে মানসম্মত হেলমেট ও অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার করুন।
৭. হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স-টোকেন ইত্যাদি) এবং রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নাম্বারপেট ব্যতীত মােটরসাইকেল চালাবেন না।
৮. অনুমােদিত এলাকা ব্যতীত অন্য এলাকা ও মহাসড়কে মােটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং বা ভাড়ায় যাত্রী বহন করবেন না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো তথ্য পেতে ভিজিট করুন.