Moddopan korle levar a ki dhoroner khoti hoi

Moddopan korle levar a ki dhoroner khoti hoi

অ্যালকোহল এবং লিভার সিরোসিসের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবেই স্বীকৃত। প্রায় দুই শতাধিক বছর পূর্বে ১৭৯৩ সালে এ সম্পর্কটি স্বীকৃত হয়। উল্লেখ্য, উন্নত বিশ্বে লিভার সিরোসিসের প্রধান কারণ হলো অ্যালকোহল আর উন্নয়নশীল দেশে প্রধান কারণ হলো বি-ভাইরাস। আমাদের দেশে অ্যালকোহলজনিত লিভার সিরোসিসের রোগীর সংখ্যা কম হলেও একেবারে অনুল্লেখযোগ্য নয়।

মদ্যপায়ীদের শতকরা ১০-১৫ ভাগ লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়। তবে সিরোসিস হওয়াটা নির্ভর করে অ্যালকোহলের পরিমাণ এবং কতদিন ধরে পান করছে সে সময়ের উপর। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১৬০ গ্রাম করে অ্যালকোহল পান করলে সিরোসিস হতে ৮ বছর সময় লাগে।তবে যারা দৈনিক ৮০ গ্রাম করে অ্যালকোহল পান করেন তারাও ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এ জাতীয় সব ধরনের পানীয়ই লিভারের ক্ষতি করতে পারে, যেমন— হুইস্কি বেশি বিপদজনক। কারণ ৩০ এমএল হুইস্কি, ১০০ এমএল ওয়াইন কিংবা ২৫০ এমএল বিয়ারে ১০ গ্রাম অ্যালকোহল থাকে।

অ্যালকোহল লিভারে কি কি রোগের সৃষ্টি করে?

অ্যালকোহল পানে –
১.
লিভারে চর্বি জমে যায় (Fatty Liver),
২. লিভার প্রদাহ (Acute hepatitis) এবং
৩. লিভার সিরোসিস করে। সিরোসিস হচ্ছে সবচেয়ে বিপদজনক। তবে পূর্ব থেকে সতর্ক হলে এর প্রতিরোধ করা সম্ভব।

অ্যালকোহল কিভাবে ক্ষতি করে?
অ্যালকোহল লিভার সেলের মধ্যে গিয়ে এক প্রকার বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে। এ পদার্থটি লিভার সেলের শক্তির উৎস মাইট্রোকনড্রিয়া এবং কোষ ঝিল্লীকে আক্রমণ করে লিভারের কোষগুলোকে মেরে ফেলে। এছাড়াও লিভারের অন্যান্য বিপাক প্রক্রিয়াও ক্ষতিগ্রস্থ করে।

রোগের লক্ষণ
ফ্যাটি লিভার:-
এ ধরনের রোগীর তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। ঘটনাক্রমেই রোগটি ধরা পড়ে। পেটে ব্যথা, খাবারে অরুচী, বমি বমি ভাব ইত্যাদি লক্ষণ থাকতে পারে। লিভারটি একটু বড় হয়ে যেতে পারে।

লিভার প্রদাহ:- এ ধরনের রোগীদেরও কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে। তবে শারীরিক দূর্বলতা, ক্লান্তি বোধ, ওজন কমে যেতে পারে, জ্বর থাকতে পারে, লিভার বড় হয়ে যায়, জন্ডিস দেখা দেয়। এ রোগকে অনেক সময় ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে আলাদাভাবে নির্ণয় করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এছাড়া সিরোসিসও কোলেষ্ট্যাটিক সিনড্রোম হতে পারে।

পরীক্ষা-নীরিক্ষা:- রক্তে ট্রান্সএমাইনেজের মাত্রা বেড়ে যায়। তবে লিভার এনাজাইম অর্থাৎ SGPT দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে থাকে। অ্যালকালাইন ফসফেটেজের পরিমাণও সামান্য বেড়ে থাকে। রক্তে বিলিরুবিন ও প্রোথ্রেম্বিন টাইম বেড়ে যায়। এলবুমিন কমে যায়, কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। কখনো কখনো লিভার বায়োপসী করা লাগতে পারে। রক্তে Gamma GT বেড়ে যায়। আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং সিটিস্ক্যান বা এম.আর.আই করলে রোগ দ্রুত ধরা পড়তে পারে।

চিকিৎসা:- এ রোগের চিকিৎসার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো দ্রুত মদ্যপান সম্পূর্ণ পরিহার করা। হঠাৎ মদ্যপান পরিহার করলে কিছু মানসিক ও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

তখন ক্লোরডায়াজেনপক্সাইড দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। মদ্যপান পরিহার করার সাথে সাথে পুষ্টিকর খাবার, ভিটামিন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম ক্লোরাইড খাওয়াতে হয়। পেটে পানি জমলে (Ascites) তারও চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজন হলে সতর্কতার সাথে ষ্টেরয়েড- জাতীয় ঔষধ যুক্ত করা যেতে পারে।

মনে রাখতে হবে, একবার সিরোসিস হয়ে গেলে অপ্রতিরোধ্য গতিতে রোগের অবনতি হয়। তখন লক্ষণ এবং জটিলতার চিকিৎসা করতে হয়। অবনতি হলে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট শেষ চিকিৎসা।

Moddopan korle levar a ki dhoroner khoti hoi

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো সাস্থ্য সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন.