Shastho Upokari Tips Shastho sommoto Jibonacar

Shastho Upokari Tips Shastho sommoto Jibonacar

স্বাস্থ্য উপকারী টিপস স্বাস্থ্যসম্মত জীবনাচার

  • সূর্যোদয়ের পূর্বে শয্যা ত্যাগ করা, তারপর মুখ ধুয়েই এক বা দুই গ্লাস নিরাপদ পানি পান করলে সহজে পেটে কোনো রোগ হয় না।
  • খালি পেটে চা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
  • সকালে বিশুদ্ধ অক্সিজেনযুক্ত বায়ু ও মিষ্টিরোদ শরীরের জন্য উপকারী, তাই সকালে খোলা জায়গায় পায়চারী করুন।
  • অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর তৎক্ষণাৎ খাওয়া এবং বিশ্রাম নেয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
  • সব খাদ্য, বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় বা দুধ খেয়ে মুখ ধোয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
  • নাক দিয়ে মাঝে-মধ্যে পানি টানলে মাথা ধরা এবং সর্দি-কাশি সহজে হয় না।
  • সকাল বেলা, গোসলের সময়, সন্ধ্যার সময় বা বাইরে থেকে এসে মুখে পানি দিয়ে চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দেয়া, হাত, কপাল, ঘাড় ও গলা ধোয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপকারী।
  • সামান্য অসুখ হলেই ঔষধ খাওয়া উচিৎ নয়।
  • ধূমপান ও মাদক সেবন স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
  • নিয়ম করে চিরতা ভিজানো পানি, নিম পাতার রস খাবেন। এতে রক্ত পরিষ্কার ও শুদ্ধ থাকবে।
  • ত্বক ও চুলের জৌলুস বজায় রাখতে প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের সঙ্গে প্রোটিনযুক্ত খাবারও খাবেন, যেমন- দুধ, মাছ, মাংস, ডিম, ছানা, চিনাবাদাম, ডাল এবং ছোলা বুট ইত্যাদি।
  • বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসে ও আলোয় এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
  • চেঁচিয়ে কথা বলা এবং উগ্রতা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
  • শীতকালে গরম জিনিস এবং গরমকালে ঠাণ্ডা জিনিস খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
  • খুব ক্ষুধা পেলে তবেই খাওয়া উচিৎ।
  • ক্ষুধা না লাগা পর্যন্ত না খাওয়া, তৃষ্ণা না লাগা পর্যন্ত পানি পান না করা এবং তীব্র সহবাসের আকাঙ্খা না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী সহবাস না করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
  • শরীর গঠনের জন্য সব উপাদান দুধে বিদ্যমান।
  • নিয়মিত চুল ছাটুন, বগল ও নাভীর নিম্নের পশম ও হাত পায়ের নখ কাটুন।
  • বাড়ীর দক্ষিণ দিকে নিমগাছ লাগান। নিমের বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

যেসব ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই:-
১.
কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। যেমন- নবজাতকের Physiological Acute Watery Jaudince, Diarrhoea, Mumps, Measles, Chicken pox.
২. রোগ জানা বা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করা হয় চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন নেই। যেমন Down’s Syndrome Choromosome analysis.

যেসব পরীক্ষা দ্বারা রোগ নিশ্চিত হয়:—

  • রক্তে ম্যালেরিয়া, কালা জ্বরের জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া। মলে কৃমির Larva, Ova উপস্থিতি।
  • Blood, Urine, Stool, C.S.F, Pleural fluid ইত্যাদি Culture করে রোগ জীবাণুর উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। • হাড় ভাঙ্গা, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (CT scan), ফুসফুসে তরল পদার্থ বা বাতাস, পেটের অন্ত্র ছিদ্র হয়ে বাতাস জমে ইত্যাদি X-ray এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়।
  • Histopathology বা কোন টিস্যু বা কলাকে কেটে অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা যায়।
  • Echocardiography এর মাধ্যমে হৃদপিন্ডের ভাল্বের অসুস্থতা, পর্দার ছিদ্র (VSD, ASD) ইত্যাদি নিশ্চিত করা যায়। Angiogram এর মাধ্যমে রক্তনালীর Block নির্ণয় করা যায়।
  • রক্তে বিভিন্ন হরমোন, Electrolyte, আয়রন ইত্যাদি পরিমাপ করে এদের অভাব ও বাড়তি নিশ্চিত করা হয়।

রোগের কারণে শরীরে যে পরিবর্তন হয় তা নির্ণয় করা:-

  • ডায়রিয়া, বমি, কিডনি রোগ ইত্যাদির কারণে রক্তে সোডিয়াম (Na), পটাশিয়াম (K), ক্লোরিন (Cl), অম্ল ও ক্ষারকের ভারসাম্যের পরিবর্তন। পরীক্ষার মাধ্যমে পরিবর্তন জানা যায়।
  • কিডনি রোগে রক্তে Urea, Creatinine বাড়ে, রক্তে এলবোমিনের পরিমাণ কমতে পারে।
  • ফুসফুস বা শ্বাসকষ্ট রোগে রক্তে অক্সিজেন (O2) ও কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2), অম্ল ও ক্ষারকের ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটে।

কিছু পরীক্ষা করে রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া:-

  • Rh (ve-) negtive মায়ের, শিশুর জন্মের পর রক্তের গ্রুপ (Rh) পরীক্ষা করা।
  • ডায়াবেটিস, হাইপো থাইরয়েড মায়ের শিশুর রক্ত পরীক্ষা।

ঔষধ/রক্ত দেওয়ার ফলাফল জানা:-
থাইরয়েড হরমোন, খিঁচুনীর ঔষধ ইত্যাদি দীর্ঘদিন যাবৎ খেতে হয়। এদের ফলাফল ও প্রতিক্রিয়া জানার জন্য পরীক্ষার প্রয়োজন। দীর্ঘদিন রক্ত গ্রহণ ও রোগের কারণে থ্যালাসেমিয়া রোগীর রক্তে দেহে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে যায় এ জন্য আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করতে হয়।

যেসব যন্ত্রের সাহায্যে শরীরের অভ্যন্তরে পর্যবেক্ষণ করা হয়:-
ক)
X-ray.
খ) CT scan.
গ) MRI.
ঘ) Ultra sonography.
ঙ) Echocardiography.
চ) Cystoscopy.
ছ) Endoscopy.
জ) Sigmoidoscopy.

বৈদ্যুতিক অবস্থা জেনে রোগ নির্ণয়:-
ECG – Heart এর রোগ নির্ণয়ের জন্য।
EEG – Brain এর রোগ নির্ণয়ের জন্য।

Shastho Upokari Tips Shastho sommoto Jibonacar

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো সাস্থ্য সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন.