ত্বকের যত্নে হলুদ
Toker Jotne Holud

কাঁচা হলুদ একটি প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপকারী উপকরণ। যা নিয়ম জেনে ব্যবহারে কোনো রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না। কারণ হলুদ ত্বকের অন্যতম প্রধান প্রোটিন কেলেজেন তৈরিতে সাহায্য করে। ত্বকের দৃঢ়তা বজায় রাখে এবং ক্ষত নিরাময় করে।

এতে আছে ভিটামিন ‘সি’ ক্যালসিয়াম ভিটামিন-৬, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান হিসেবে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। ফলে ক্ষত দ্রুত নিরাময় হয় এবং ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

সমস্যা যেটাই হোক না কেন বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দুইভাবেই হলুদ ব্যবহার করা যায়। ব্রণ, কালো দাগ, শুষ্কতা, তৈলভাতা কমাতে, বলিরেখা দূর করতে ইত্যাদি সব রকমের সমাধানের মাধ্যম হলুদ। যে কোনো কিছু ত্বকে ব্যবহারের আগে এক নিয়মকানুন অবশ্যই জেনে নিতে হবে। সবার ত্বকের ধরন এক নয়।

ত্বকের ধরন আগে জানতে হবে। তাই যার যার ত্বকের ধরন অনুযায়ী রূপচর্চা করলে উপকারের পাশাপাশি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হবে না। ক্ষত সারতে হলুদের কোনো বিকল্প নেই। ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিয়ে ১৫ মি. ক্ষতের ওপর রেখে শুকিয়ে গেলে ধুলো নিতে হবে।

অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বৃদ্ধি:
কাঁচা হলুদ ভালো করে ধুয়ে পাতলা করে কেটে রুম টেম্পারেচারে শুকিয়ে নিয়ে ভালো ব্রেন্ড করে কাচের কনটেইনারে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন গরুর দুধের সঙ্গে হাফ চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিয়ে খেলে উপকার পাবেন। হলুদ ত্বকে ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরন জেনে নিতে হবে। তাহলে সেই অনুযায়ী হলুদ ত্বকে ব্যবহারের ফলে ত্বকের উপকার পাওয়া যাবে।

শুষ্ক ত্বক:
হলুদের রস বের করে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে কাচের জারে রেখে দিতে হবে।

প্যাক:
হলুদের রস ১ টেবিল চামচ, দুটি কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখুন। ভালো করে পেস্ট করে এর সঙ্গে হাফ চা চামচ ডিমের কুসুম, ১ টেবিল চামচ ডালের গুঁড়া ও বেসন মিশিয়ে নিয়ে পুরো মুখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে, বলিরেখা দূর হবে, ত্বকের টানটান বজায় থাকবে।

তৈলাক্ত ত্বক:
১ টেবিল চামচ হলুদের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এর সঙ্গে পুদিনা পাতার পেস্ট ও ১ চা চামচ তুলসী পাতার পেস্ট ও ১ চিমটি কর্পূর ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্ততা কমে যাবে।

মিশ্র ত্বক:
হলুদের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ডিমের সাদা অংশ ও ডিমের কুসুম ১ টেবিল চামচ যেন হয় দুটো মিশিয়ে। এখন এর সঙ্গে মুগ ডালের বেসন মিশিয়ে ত্বকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিতে হবে। যে হলুদে কারকিউমিনের পরিমাণ বেশি, সেই হলুদের ঔষধি গুণও বেশি। তবে যে হলুদে সিসার পরিমাণ বেশি থাকে সে হলুদ ক্ষতিকর। তাই হলুদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা হওয়া খুবই জরুরি।

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো সাস্থ্য সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন.