মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির সবই আছে কাটালেন। এক সময় বাঙালির পুষ্টির অভাব পূরণ করতে কাঁঠাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতো। শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে কাঠাল অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল। সেই কারণে কাঁঠাল বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার জাতীয় ফল। এছাড়া ভারতের তামিলনাড়ু এবং কেরালার রাজ্যপাল হলো কাঁঠাল। তবে অনেকেই আছেন যারা কাঁঠাল পছন্দ করেন না। কেউ কেউ আবার মনে করেন কাঁঠাল গরিবের খাদ্য। কিন্তু, বিষয়টি মোটেও সে রকম নয়। বরং, কাঁঠাল হল পুষ্টির রাজা। কাঁঠালের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এই পর্বে। Annotatebd সাইটে আপনি নতুন ফলে অনুরোধ করবো এই পোষ্টটি ভালো করে বুঝে পড়তে।

কাঁঠালে নানান রকমের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এই সকল উপাদান আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কাঁঠাল প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করেন। কাঁঠালে আছে বিটা-ক্যারোটিন, থায়েমিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং ন্যাসিম সহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে কাঁঠালের প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও শর্করা থাকায় তা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী। কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ খুবই কম। তাই কাঁঠাল খেলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা নেই।

কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের দেহের ক্ষতিকর ফ্রী রাদিক্যালস থেকে সুরক্ষা দেয়। এই উপাদান সর্দি কাশি রোগের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। কাঁঠাল পটাশিয়াম এর উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। এই পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সেজন্য কাঁঠাল উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতেও কাঁঠাল বেশ কার্যকরী। কাঁঠালের থাকা আয়রনে মতো খনিজ উপাদান দেহের রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়া আরও ২ টি খনিজ উপাদান পটাশিয়াম ম্যাঙ্গানিজ রক্তের শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কাঠালে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম যা মানব দেহের হাড়ের গঠন ও আরো শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।

কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে। যার রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। মানবদেহের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি’র রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে। কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি সিক্স (b6)। যা হূদেরাগের ঝুঁকি কমায়। কাঁঠালে থাকা ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস উপাদানগুলো আলসার ক্যান্সার উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। কাঁঠাল আঁশযুক্ত ফল হওয়ার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া বদহজম রোধ করার মতো গুনো কাঁঠালের আছে। তবে শব্দকোষ যুক্ত কাঁঠাল অধিক পরিমাণে খেলে কাঁঠাল নিজেই হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারেন সেজন্য শব্দ কাঁঠাল খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।

কাঁঠালের মতো কাঁঠালের বিচিতেও অনেক উপকারিতা রয়েছে। কাঁঠালের বিচি ভিটামিন বি ওয়ান ও ভিটামিন বি টুয়েলভ এর ভালো উৎস। এছাড়া আছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি থায়েমিন নার্সিং লিভ নেন আইসোগ্যামি এবং স্যাপোনিরের মত ফাইটোকেমিক্যালস। যা মানব দেহের জন্য উপকারী কাঁঠালের বিচিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো ক্যান্সার প্রতিরোধী এবং বার্ধক্যের প্রভাব সৃষ্টিকারী উপাদান গুলো কে নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁঠালের বিচি ওজন কমবেই অনেক এনার্জি যোগাতে পারে। কাঁঠালের বিচির অত্যন্ত উপকারী। মাছ-মাংস যাদের কম খাওয়া হয় তাদের জন্য আমিষের চাহিদা মেটাতে কাঁঠালের বিচি উৎকৃষ্ট খাবার।

আমাদের এই ছোট আয়োজনটি কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানান। ধন্যবাদ।

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো তথ্য পেতে ভিজিট করুন.