ঈদুল ফিতর নামাযের সম্পূর্ণ নিয়ম বাংলাতে

ঈদুল ফিতর নামাযের নিয়মঃ-

ঈদুল ফিতর নামায আদায় করার জন্য যেভাবে প্রস্তুত নিতে হবেঃ-

সূর্য উদিত হয়ে এক বর্শা (অর্ধ হাত) পরিমাণ উঁচু হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত বাকি থাকে। নামায আদায় করার জন্য প্রথমে গোসলের ফরজ পালন করতে হবে। তারপর গোসল করে নিজেকেপাক করতে হবে, নতুন পাক কাপড় পরতে হবে। এরপর ওযু করতে হবে। মসজিদের ময়দানে পাক স্থানে পড়তে হবে।তারপর নামায আদায়ের স্থথানে দারাইতে হবে।

নামাযে যেভাবে ১ম রাকাত শুরু করবেনঃ-

১) প্রথমে ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত করতে হবেঃ-

 نَوَيْتُ أنْ أصَلِّي للهِ تَعَالىَ رَكْعَتَيْنِ صَلَاةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتِّ التَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالَى اِقْتَضَيْتُ بِهَذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

উচ্চারণ:

নাওয়াইতু আন্‌ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআতাই সালাতিল ঈদিল্‌ ফিত্‌রি মা’আ সিত্তাতি তাক্‌বীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা’য়ালা ইক্‌তাদাইতু বিহাযাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি।

অর্থ:

আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহ্‌র (সন্তুষ্টির) জন্য অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দুই রাকআত ওয়াজিব নামাজ এই ইমামের পিছনে আদায়ের নিয়ত করলাম।

(তবে নিয়ত আরবিতেই করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বাংলাতেও করা যাবে।)

২) নিয়ত করার পর প্রথম তাকবির বলতে হবেঃ-

প্রথম তাকবিরে হাত বেঁধে সানা পড়বে।

আল্লাহু আকবার

অর্থ: আল্লাহ্ মহান!

বলে উভয় হাত কানের কাছে নিয়েই নাভি বরাবর হাত বাধতে হবে।

৩) তারপর সানা পড়তে হবে। সানায় আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি নিজের জন্য দুয়া করি।

উচ্চারণ:

সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারাকাস্মুকা ওয়া তা’আলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি পাক- পবিত্র, তোমারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, তোমার নাম বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ, তুমি ছাড়া অন্য কেহ উপাস্য নাই।

অতিরিক্ত ৩ (তিন) তাকবির বলতে হবেঃ-

দ্বিতীয় তাকবিরে

আল্লাহু আকবার

অর্থ: আল্লাহ্ মহান!

বলে উভয় হাত কানের কাছে নিয়েই ছেড়ে দিন।

তৃতীয় তাকবিরে

আল্লাহু আকবার

অর্থ: আল্লাহ্ মহান!

বলে উভয় হাত কানের কাছে নিয়েই ছেড়ে দিন।

চতুর্থ তাকবীর

আল্লাহু আকবার

অর্থ: আল্লাহ্ মহান!

বলে উভয় হাত কানের কাছে নিয়েই নাভি বরাবর হাত বাধতে হবে এবং এরপর ঈমাম ক্বেরাত পড়বেন।

৪) তারপর আমরা শয়তানের প্রতারনা থেকে আশ্রয় চাই এবং বলিঃ-

আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রাজিম

অর্থ:

বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

৫) আল্লাহর পবিত্র নাম দিয়ে আল্লাহর দয়া করুণার গুন দিয়ে নামাজ এগিয়ে নিয়ে যাই। এবং বলিঃ-

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

অর্থঃ

পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।

৬) এরপর আমরা সূরা ফাতেহা দিয়ে নামাজ শুরু করি (২ রাকাত ওয়াজিব নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়ি ) এর সাথে একটা সূরা পড়তে হবে। ধরুন সূরা ইখলাস

সূরা ফাতেহা:

১। আলহামদুলিল্লা-হি রাব্বিল আ-লামীন।

অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে।

২। আর রাহমা-নির রাহীম।

অর্থঃ অনন্ত দয়াময়, অতীব দয়ালু।

৩। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন।

অর্থঃ প্রতিফল দিবসের মালিক।

৪। ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কানাছতা’ঈন।

অর্থঃ আমরা শুধু আপনারই দাসত্ব করি এবং শুধু আপনারই নিকট সাহায্য কামনা করি।

৫। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম।

অর্থঃ আমাদের সরল পথনির্দেশ দান করুন।

৬। সিরা-তাল্লাযীনা আন’আম তা’আলাইহিম।

অর্থঃ তাদের পথে, যাদের আপনি অনুগ্রহ করেছেন

৭। গাইরিল মাগদূ বি’আলাইহীম ওয়ালাদ্দাল্লীন।

অর্থঃ এবং তাদের পথে নয় যারা আপনার ক্রোধের শিকার ও পথভ্রষ্ট

আমিন

সূরা আল ইখলাস:বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

১। কু’ল হুওয়া ল্লা-হু আহাদ৷

অর্থঃ বল, তিনিই আল্লাহ্ এক!

২। আল্লা-হু স্‌সামাদ৷

অর্থঃ আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।

৩। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইয়ুলাদ৷

অর্থঃ তিনি কাউকে জন্ম দেন নি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি।

৪। ওয়া লাম ইয়াকু ল-লাহু কুফুওয়ান আহাদ!

অর্থঃ তার সমতুল্য আর কেউ নেই!

৭) আল্লাহু আকবারবলেআমরা রুকুতে আল্লাহ্-র উদ্দেশ্যে শরীল অর্ধেক ঝুঁকিয়ে দিয়ে মাথা নুয়িয়ে হাটুর উপর হাত দিয়ে আল্লাহর প্রশংসা করি এবং ক্ষমা চাই, ৩/৫/৭ বার বলিঃ-

সুবাহানা রাব্বি-আল আজিম

অথবা

“সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম ওয়া বিহামদিহি”

অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি।

৮) তারপর রুকু থেকে উঠার সময় আমরা বলিঃ-

     “সামি আল্লাহু লিমান হামিদা

অর্থ: আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে ।

৯) তারপর পরই অর্থাৎ দাড়িয়ে আমরা আবার আল্লাহর প্রশংসা করে বলিঃ-

 “রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ

অর্থ: হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই।

১০) এরপর আল্লাহু আকবার বলে আমরা সমস্ত শরীল নুয়িয়ে দিয়ে মাথাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়ে আল্লাহর নিকট সিজদা দেই এবং বলিঃ-

সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা

অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি

বি: দ্র: ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করে, আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লেখেন ও তার একটি পাপ দূর করে দেন এবং তার মর্যাদার স্তর একটি বৃদ্ধি করে দেন। ৩/৫/৭ বার

১১) এরপর  আল্লাহু আকবার বলে সিজদা থেকে উঠে বসি এবং আমরা বলিঃ-

   “আল্লাহুম্মাগ ফিরলি,ওয়ার হামনী, ওয়াহদীনি, ওয়া আফিনী, ওয়ার-ঝুকনী

অর্থ:

হে আল্লাহ! তুমি আমায় মাফ কর, আমাকে রহম কর, আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে শান্তি দান কর এবং আমাকে রিজিক দাও ।

১২) তারপর আবার আল্লাহু আকবার বলে আমরা সমস্ত শরীর নুয়িয়ে দিয়ে মাথাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়ে আল্লাহর নিকট সিজদা দেই এবং বলিঃ-

সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা” (৩/৫/৭)

অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি

১ম রাকাত শেষ হলো।

এবার ২য় রাকাত শুরু করবেন যেভাবেঃ-

১৩) ২য় রাকাতে ইমাম কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির দেবেন। প্রতি তাকবিরের সঙ্গে হাত ওঠাবেন এবং ছেড়ে দেবেন। তারপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবেন। তবে নিয়ত করতে হবে না। সানা পড়তে হবে না। আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রাজিম পড়তে হবে না।শুধুশেষ বৈঠকে তাশাহুদ, আল্লাহর প্রশংসা করি । রাসুল (সাঃ) এর প্রতি দুরুদ পেশ করে নিজেদের জন্য দুয়া করি। দুআ মাসুরা পড়ি ।

২য় রাকাত শুরুঃ-

আল্লাহু আকবার” বলে দাড়িয়ে পড়তে হবে। নাভি বরাবর হাত বাধতে হবে। “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” পড়তে হবে। এরপর সূরা ফাতেহা পড়তে হবে এবং এর সাথে অন্য একটা সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। ধরুন ১ম রাকাতে সূরা ইখলাস পড়লে ২য় রাকাতে সূরা নাস পড়তে হবে।

সূরা আন নাস:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

১। কুল আউযু বিরাব্বিন নাস,

অর্থঃ বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,

২। মালিকিন্ নাস,

অর্থঃ মানুষের অধিপতির,

৩। ইলাহিন্ নাস,

অর্থঃ মানুষের মা’বুদের,

৪। মিন্ শররিল ওয়াস্ ওয়াসিল খান্নাস,

অর্থঃ তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,

৫। আল্লাযী ইউওযাসবিসু ফী ছুদুরিন্নাস,

অর্থঃ যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে,

৬। মিনা জিন্নাতি ওয়ান্নাস।

অর্থঃ জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।

রুকুতে যাওয়ার আগে ৩ (তিন) তাকবির বলতে হবেঃ-

প্রথম তাকবিরে

আল্লাহু আকবার

অর্থ: আল্লাহ্ মহান!

বলে উভয় হাত কানের কাছে নিয়েই ছেড়ে দিন।

দ্বিতীয় তাকবিরে

আল্লাহু আকবার

অর্থ: আল্লাহ্ মহান!

বলে উভয় হাত কানের কাছে নিয়েই ছেড়ে দিন।

তৃতীয় তাকবিরে

আল্লাহু আকবার

অর্থ: আল্লাহ্ মহান!

বলে উভয় হাত কানের কাছে নিয়েই ছেড়ে দিন।

এরপর চতুর্থ বার আল্লাহু আকবার বলে রুকু করতে হবে। ৩/৫/৭ বার

সুবাহানা রাব্বি-আল আজিম” বলতে হবে। (তবে ১ম রাকাতে যতবার বলবেন ঠিক ২য় রাকাতে ততবার বলতে হবে)। তারপর রুকু থেকে উঠার সময় বলতে হবে “সামি আল্লাহু লিমান হামিদা“। এবার সোজা হয়ে দাড়িয়ে বলতে হবে রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ এরপর আল্লাহু আকবার বলে ১ম সিজদা করতে হবে। ৩/৫/৭ বার “সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা” বলতে হবে। (তবে ১ম রাকাতে যতবার বলবেন ঠিক ২য় রাকাতে ততবার বলতে হবে)। এরপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদা থেকে উঠে বসতে হবে। “আল্লাহুম্মাগ ফিরলি,ওয়ার হামনী” বলতে হবে। আবার আল্লাহু আকবার বলে ২য় সিজদা করতে হবে। ৩/৫/৭ বার “সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা” বলতে হবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদা থেকে উঠে বসতে হবে। এবার তাশাহুদ পড়তে হবে। এরপর দুরুদ পড়তে হবে। এরপর দুআ মাসুরা পড়তে হবে।

তাশাহুদ:-

“আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু, ওয়াত্ তাইয়িবাতু। আস্সালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীন। আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্হাদু আননা মুহাম্মাদান আদুহু ওয়া রাসুলুহু”

অর্থঃ-

সকল তাযীম ও সম্মান আল্লাহর জন্য,সকল সালাত আল্লাহর জন্য এবং সকল ভাল কথা ও কর্মও আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপানার প্রতি শান্তি,আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের উপরে এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল”

দুরুদ:-

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ, আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাক্তা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ”

অর্থ:-

হে আল্লাহ! আপনি নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ও উনার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপভাবে আপনি ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত সম্মানিত।

দুআ মাসুরা:-

আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি যুলমান কাছিরা, ওয়ালা ইয়াগ ফিরূজ যুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম।

অর্থঃ-

হে আল্লাহ! আমি আমার উপর অত্যাধিক অন্যায় করেছি গুনাহ করেছি এবং তুমি ব্যতীত পাপ ক্ষমা করার কেউ নেই। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। ক্ষমা একমাত্র তোমার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আমার প্রতি রহম কর। নিশ্চই তুমি ক্ষমাশীল দয়ালু।

১১) এরপর ২ কাঁধে সালাম দিয়ে আমরা নামাজ শেষ করি। (প্রথমে ডান পাশে এবং পরে বাম পাশে)

সালাম:-

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া:-

اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد

উচ্চারণ:

আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

অর্থ:-

আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।

ঈদুল ফিতর ২ রাকাত ওয়াজিব নামাযের শেষে খুতবা:-

১ম খুতবা

উচ্চারণ:-

আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। ইন্নাল হামদাল্লাহি নাহমাদুহু ওয়া নাসতাইনুহু ওয়া নাসতাগফিরুহু ওয়ানাউজু বিল্লাহি মিন সুরুরি আনফসিনা। ওয়া মিন সায়্যেআতি আমালিনা মাইয়াহ দিহিল্লাহু ফালা মুদিল্লালাহু ওয়া মাইয়ূদ লি লহু ফালা হাদিয়ালাহ। ওয়া আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়হদাহু লাশারি কালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলি ওয়া আসহাবিহি ওয়া সাল্লাম। ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমা নুত্তাকুল্লাহা হাক্কা তুকাতিহি ওয়া লা তামুতুন্না ইল্লাওয়া আন। তুম মুসলিমুন ইয়া আইয়ুহান নাসুত্তাকু রব্বাকুমুল্লাজি খালা কাকুম মিন্নাফসিও ওয়াহিদাহ ওয়া খালাকা মিনহা জাওজাহা ওয়া বাছছা মিনহুমা রিজালান কাসিরাও ওয়া নিসায়া ওয়াত্তা কুল্লাহাল্লা জি তাসাআলুনা বিহি ওয়াল আরহাম। ইন্নাল্লাহা কানা আলাইকুম রাকিবা। ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানুত্তাকু প্লাহা ওয়াকুলু কাওলান সাদিদা। ইউসলেহলাকুম আ’মালাক নওয়া ইয়াগ ফির লাকুম জুনুবাকুম। ওয়া মাই ইত্বইল্লাহ ওয়া রাসুলাহ ফাকাদ ফাজা ফাওজান আজিমা। আম্মা বায়াদু ফায়া আইয়ুহাল মুসলিমুন কালা প্লাহু তায়ালা ওয়ালি তুমিলু লইদ্দতা ওয়ালি তুকাব্বিরুল্লাহ আলা মা হাদাকুম ওয়া লাআ লাকুম তাসকুরুন। আল্লাহু আকবার আল্লাহুআকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ। ওয়া ক্বালা রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ইন্না লিকুলি ইদান ওয়া হাজা উদুনা। বারাকাল্লাহু লানা ওয়া লাকুম ফিল কুর আনিল আজিম ওয়া নাফায়ানি ওয়া ইয়্যাকুম বিমা ফি হি মিন আয়াতি ওয়া জিকরিল হাকিম। আকুলুকাউলি হাজা ওয়াস তাগফিরুল্লাহ লি ওয়ালাকুম ওলিসাইরিল মসিলিমিন মিন কুল্লি জাম বিন ফাসতাগফিরুহু ওয়া তুবু ইলইহি ইন্নাহু তায়্যাবুর রাহিম

২য় খুতবা

উচ্চারণ:-আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ইন্নাল হামদাল্লিাহি নাহমাদুহু ওয়া নাসতাইনুহু ওয়া নাসতাগ ফির ওয়া আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়হদাহু লাশারিকালাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া আস হাবিহি ওয়া সাল্লাম। আম্ম বায়াদ ফায়া আইয়ুহাল মুসলিমুন কালাল্লাহু তায়ালা ইন্নাল্লাহা ওয়া মালা আকাতাহু ইউসলুনা আলান্নাবি ইয়া আ ইয় হাল্লাজিনা আমানু সালু আলাইহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা। আলাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদকামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিম  ইন্নাকা হামিদুম্যাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মদ কামা বারাকাতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিম ইন্নকা হামিদুম্যাজিদ। ওয়ারদা ল্লা হুম্মা আনিস সাহাবতি আজমাইন, খুসুসুম মিনহুমুল খুলাফাই ওয়ার রাশিদিন, আবি বকর,ওয়া ওমার, ওয়া ওসমান ওয়া আলি ওয়া আনিত আনিত্তাবিইন ওয়া মান তাবিয়াহুম ইলা ইয়াও মিদ্দিন,ওয়া আন্না মায়াহুম বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লাইলাহাইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ। রব্বনা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস সা মিউল আলিম, ওয়াতুব আলাইনা ইন্নকা আন তাত্তাউয়া বুর রাহিম। রব্বানা আতিনা ফিদুনয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আজাবান্নার। রব্বনা লাতুজিগ কলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতা না ওয়াহাব লানা মিল্লাদুনকা রহমাহ ইন্নকা আনতাল ওহহাব। ইন্নাল্লাহা ইয়া’মুরু বিল আদলি ওয়াল ইহসানি ওয়া ইতাইজিল কুরবা ওয়া ইয়ানহা আনিল ফাহ সাই ওয়াল মুনকারি ওয়াল বাগ। ইয়া ইজুকুম লাআল্লাকুম তাজাকরুন।

ঈদুল ফিতর ২ রাকাত ওয়াজিব নামাযের শেষে মোনাযাত:-

উচ্চারণ:-

অর্থ:-

আল্লাহ আমি আপনার কাছে আসি। আমি আপনার দয়া এবং করুণার দরজায় এসেছি। আমি আপনার জন্য কষ্ট ও দুঃখের সময়ে আপনার দরবারে আসি। আমি জানি যে আমি সমস্ত গুনাহ করেছি, কিন্তু আপনি আমার প্রতি সদয় হওয়া সাক্ষাত করেছেন। আমি আপনার দয়া এবং করুণার কাছে আমার প্রার্থনা রয়েছে যে আপনি আমার পাপ মাফ করবেন এবং আমাকে সদয় করে দেবেন।

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো নামাজ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন.