Dat O Mukher Rog? Keno Thoter Jotno Niben?

Dat O Mukher Rog Keno Thoter Jotno Niben

ঠোটের অসুখ এবং পরিচর্যা:-
বিভিন্ন পরিবেশ এবং পরিস্থিতিতে আপনার ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। আপনি যদি দীর্ঘ সময় সূর্যের আলোতে কাজ করেন তবে সেক্ষেত্রে ঠোঁটের প্রদাহ থেকে শুরু করে স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ ঠোঁটের ক্যান্সারের সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করলে রোগী খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়। প্রচন্ড রোদের মধ্যে কাজ করতে হলে অথবা বেশিক্ষণ থাকতে হলে আপনি সুরক্ষা হিসেবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে এস.পি.এফ-৩০ থেকে এস.পি.এফ-৪০ পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এ কারণেই ক্রিকেট খেলার সময় অনেক খেলোয়াড়কে ঠোঁটে এবং মুখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে দেখা যায়।

ঠোঁটের এলার্জি:
যাদের লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটে এলার্জি হয়, তাদের ক্ষেত্রে লাল রঙের লিপস্টিকের পরিবর্তে হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত। এলার্জিজনিত সমস্যায় অর্থাৎ ঠোটে চুলকানি হলে অথবা ফুলা থাকলে এন্টিএলার্জিক ওষুধ সেবন করতে পারেন। রক্তের একটি পরীক্ষা করে সহজেই আপনার রোগ নির্ণয় করা যায়। নকল লিপস্টিক এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার থেকে সতর্ক থাকতে হবে। নকল প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে। কিছু উচ্চ রক্তচাপ নিরোধক ওষুধ সেবন করলেও ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং আলসার দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ওষুধ পরিবর্তন করে দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ঠোঁট ফেটে গেলে:
প্রচন্ড গরম এবং ঠান্ডায় আপনার ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। ঠোঁট ফেটে গেলে ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও গ্লিসারিনও ব্যবহার করা যায়। মেয়েদের মধ্যে যারা গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করেন তারা ঘুমানোর আগে লিপস্টিক উঠিয়ে নিবেন। অন্যথায় ঠোঁটে কালো দাগ হতে পারে এবং ঠোঁট ধীরে ধীরে গাঢ় রঙের হয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ২% হাইড্রোকুইনন ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি এফডিএ কর্তৃক অনুমোদিত। যাদের বিশেষ করে শীতকালে ঠোঁট বেশি ফাটে তারা বারবার পেট্রোলিয়াম জেলি, লিপজেল, ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে এসব প্রসাধনী সামগ্রী যেন উন্নতমানের হয়। অন্যথায় ঠোঁটে সমস্যা দেখা দিবে। যাদের ঠোঁট অধিকাংশ সময় শুষ্ক থাকে তারা ইচ্ছা করলে প্রাকৃতিক মধু ঠোঁটের উপর প্রয়োগ করতে পারেন।

মধু ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ঠোঁটের দাগ কিছুটা হলেও দূর করে। মধু রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় গ. প্রয়োগ করতে হবে। সকাল বেলা ঠোঁট ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ঠোঁট কখনো ফুলে গেলে অথবা ঠোঁটে পানি আসলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে দেরী হলে এন্টিএলার্জিক ওষুধ সেবন করতে হবে। এক্ষেত্রে ডেজলোরাটিডিন জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। এর সাথে প্রয়োজন হলে সীমিত আকারে স্টেরয়েড ব্যবহার করা যেতে পারে। সবার একটি কথা মনে রাখতে হবে যে ঠোঁটের নীচে ঘর্মগ্রন্থি বা সোয়েট গ্ল্যান্ড থাকে না। এই কারণেই ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে শীতকালে ঠোঁটের কোনায় ঘা হতে পারে। ভিটামিন বি, অথবা রিবোফ্লাবিন এর অভাব হলে ঠোঁটের কোনায় ঘা হতে পারে। হারপিস ভাইরাসের কারণে ঠোঁটে আলসার বা দেখা দিতে পারে। ঘা এক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের কোনো প্রয়োজন নেই।

ঠোঁটের রোগ চিলাইটিস:
অনেকে বদ অভ্যাসের কারণে ঠোঁট কামড়াতে থাকেন। শীতকালে ঠোঁট ফেটে গেলে ঠোঁটের চামড়া টেনে তোলেন। অনেকে আবার নিজের ঠোঁট নিজেই চুষতে থাকেন। এ ধরনের বদ অভ্যাস থাকলে ঠোঁটের প্রদাহজনিত রোগ এক্সফলিয়েটিভ চিলাইটিস নামক রোগ দেখা দিতে পারে যা সহজে ভালো হতে চায় না।

এক্সফলিয়েটিভ চিলাইটিস বা ঠোঁটের প্রদাহের চিকিৎসা:
এ ধরনের সমস্যায় বিশেষ স্টেরয়েড ক্রিম নির্দিষ্ট মাত্রায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া গ্লিসারিন বোরাক্স এক্সফলিয়েটিভ চিলাইটিস বা ঠোঁটের প্রদাহের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। এন্টি ফাঙ্গাল ওষুধ সেবন করা যায়। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মাউথওয়াস ব্যবহার করা যেতে পারে। ভিটামিন ডি সেবন করা যেতে পারে। সবকিছু নির্ভর করবে আপনার ঠোঁটের সার্বিক অবস্থার উপর।

ঠোঁট নীল হয়ে গেলে:
ঠোঁট ও জিহ্বা যদি নীল হয়ে যায় ধারনা করতে হবে আপনার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কম হতে পারে। বর্তমান মহামারি চলাকালীন সময়ে ঠোঁট ও জিহ্বা সামান্য নীল হলে যত দ্রুত সম্ভব পালস্ অক্সিমিটার দিয়ে দেখে নিতে হবে আপনার রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ঠিক আছে কি-না। ঠোঁট একটি স্পর্শকাতর অংশ। ঠোঁটের যথাযথ যত্ন নিতে হবে এবং ঠোঁটের অসুখে অবহেলা করা যাবে না।

Dat O Mukher Rog Keno Thoter Jotno Niben

ভালো লাগলে কিন্তু ফেসবুক পেজ এ লাইক দিতে ভুলে জাবেন না।
আরো সাস্থ্য সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন.